Tuesday, 29 January 2019

CHEMICAL CALCULATIONS



☼ রাসায়নিক বিক্রিয়া ও রাসায়নিক সমীকরণ [Chemical reaction and chemical equation]:-

☼ রাসায়নিক বিক্রিয়া [Chemical reaction]:- যে প্রক্রিয়ায় একটি পদার্থ বিশ্লিষ্ট হয়ে কিংবা একাধিক পদার্থ পরস্পরের সংস্পর্শে এসে রাসায়নিক সংযোগের মাধ্যমে এক বা একাধিক ভিন্নধর্মী নতুন পদার্থ উত্পন্ন করে, সেই প্রক্রিয়াকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে ।

যে পদার্থ বা পদার্থগুলি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, তাদের বিকারক বা বিক্রিয়ক পদার্থ [Reactants] বলে ।

রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে নতুন ধর্মবিশিষ্ট যেসব পদার্থ উত্পন্ন হয়, তাদের বিক্রিয়াজাত পদার্থ [Products] বলে ।



☼ রাসায়নিক সমীকরণ [Chemical equation]:- বিক্রিয়ক এবং বিক্রিয়াজাত পদার্থের পরামাণুগুলির মধ্যে সমতা বজায় রেখে চিহ্ন ও সংকেতের সাহায্যে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়াকে সংক্ষেপে প্রকাশ করার পদ্ধতিকে রাসায়নিক সমীকরণ বলে ।



উদাহরণ : হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় জল উত্পন্ন হয় । হাইড্রোজেন + অক্সিজেন = জল

এই বিক্রিয়াটিকে চিহ্ন ও সংকেতের সাহায্যে সংক্ষেপে প্রকাশ করা হয় । 2H2 + O2 = 2H2O এটাই বিক্রিয়াটির রাসায়নিক সমীকরণ । এখানে H2 ও O2 বিক্রিয়ক এবং H2O হল বিক্রিয়াজাত পদার্থ ।


☼ আণবিক ভর [Molecular mass]:-

কোনো মৌল বা যৌগের একটি অণু একটি কার্বন -12 (C12) পরমাণুর ভরের 1/12 অংশের তুলনায় যতগুণ ভারী, সেই তুলনামূলক সংখ্যাটিকে ওই মৌল বা যৌগের আণবিক ভর বলে ।

অর্থাৎ, আণবিক ভর = মৌল বা যৌগের 1টি অণুর ভর / 1টি কার্বন -12 (C12) পরমাণুর ভরের 1/12 অংশ



◘ আণবিক ভর একটি সংখ্যা মাত্র, এর কোনো একক নাই ।

এই হিসাব অনুযায়ী, অক্সিজেনের আণবিক ভর = 32 বলতে এই বোঝায় যে, 1টি অক্সিজেন অণুর ভর 1টি কার্বন - 12 (C12) পরমাণুর ভরের 1/12 অংশের চেয়ে 32 গুণ ভারী ।



☼ গ্রাম-পারমাণবিক ভর বা এক গ্রাম-পরমাণু [Gram-atomic mass or one gram-atom]:-

কোনো মৌলিক পদার্থের পারমাণবিক ভরকে গ্রামে প্রকাশ করলে যত গ্রাম হয়, গ্রামে প্রকাশিত সেই ভরকে ওই মৌলিক পদার্থের গ্রাম-পারমাণবিক ভর বা এক গ্রাম-পরমাণু বলে । যেমন— অক্সিজেনের পারমাণবিক ভর 16, অতএব 16 গ্রাম অক্সিজেনকে এক গ্রাম-পরমাণু অক্সিজেন বলে ।



☼ গ্রাম-আণবিক ভর বা গ্রাম-অণু বা গ্রাম-মোল [Gram-molecular mass or gram-molecule or gram mole]:-

কোনো মৌলক বা যৌগিক পদার্থের আণবিক ভরকে গ্রামে প্রকাশ করলে যত গ্রাম হয়, গ্রামে প্রকাশিত সেই ভরকে ওই মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের গ্রাম-আণবিক ভর বা এক গ্রাম-অণু বা এক গ্রাম-মোল বলে । গ্রাম-মোলকে সংক্ষেপে মোল [Mole] বলে ।
যেমন— অক্সিজেনের আণবিক ভর = 32, অতএব অক্সিজেনের গ্রাম-আণবিক ভর = 32 গ্রাম । এই 32 গ্রাম ভরের অক্সিজেনকে এক গ্রাম-অণু বা এক গ্রাম-মোল অক্সিজেন বলে ।



☼ বাষ্প-ঘনত্ব বা আপেক্ষিক ঘনত্ব [Vapour density or relative density]:-

একই চাপ ও উষ্ণতায় কোনো গ্যাসের ভর ওর সমআয়তন হাইড্রোজেন গ্যাসের ভরের চেয়ে যতগুণ ভারী, সেই সংখ্যাকে ওই গ্যাসের বাষ্প ঘনত্ব  বা আপেক্ষিক ঘনত্ব বলে ।

অর্থাৎ,  গ্যাসের বাষ্প ঘনত্ব [D] =  V আয়তন গ্যাসের ভর / V আয়তন  হাইড্রোজেন গ্যাসের ভর ।



☼ গ্রাম-আণবিক আয়তন বা মোলার আয়তন [Molar Volume]:-

নির্দিষ্ট চাপ ও উষ্ণতায় যে কোনো মৌলিক বা যৌগিক গ্যাসের এক গ্রাম-অণু যে পরিমাণ আয়তন অধিকার করে, সেই আয়তনকে ওই গ্যাসের গ্রাম-আণবিক আয়তন বা মোলার আয়তন বলে । মোলার আয়তন কেবলমাত্র চাপ ও উষ্ণতার ওপর নির্ভর করে, পদার্থের প্রকৃতি বা ধর্মের ওপর নির্ভর করে না । প্রমাণ চাপ ও উষ্ণতায় যে-কোনো গ্যাসের মোলার আয়তন 22.4 লিটার ।
যেমন— N.T.P. -তে এক গ্রাম-অণু O2 বা 32 গ্রাম O2 -এর মোলার আয়তন = 22.4 লিটার । এভাবে N.T.P. -তে 2 গ্রাম অণু যে-কোনো গ্যাসের আয়তন = 2 x 22.4 = 44.8 লিটার ।


► গ্রাম-আণবিক ভর এবং গ্রাম-আণবিক আয়তনের ব্যবহারিক প্রয়োগ [Practical application of Gram-molecular mass and Gram-molecular volume]:-



[A] ওজন-ওজন সংক্রান্ত গণনা [Calculation involving weight and weight]:-

পদার্থের পারমাণবিক ভর ও আণবিক ভর জানা থাকলে রাসায়নিক সমীকরণ থেকে বিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়ক এবং বিক্রিয়াজাত পদার্থগুলির ভর জানা যায় ।

♦ গাণিতিক উদাহরণ :-

1.  10 গ্রাম অক্সিজেন প্রস্তুত করতে কত গ্রাম পটাশিয়াম ক্লোরেট প্রয়োজন ?

[ K = 39,    Cl = 35.5,   O = 16 ]

Ans:  বিক্রিয়ার সমীকরণটি হল :  2KClO3  =   2KCl  +  3O2

2[39+35.5+3×16=245]2[39+35.5+3×16=245]   3[2×16]=963[2×16]=96
দেখা যাচ্ছে যে, 96 গ্রাম O2 প্রস্তুত করতে 245 গ্রাম KClO3 প্রয়োজন

অতএব 10 গ্রাম O2 প্রস্তুত করতে24596×10=25.5224596×10=25.52গ্রাম (প্রায়) KClO3 প্রয়োজন ।

























No comments:

Post a Comment